আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ হতদরিদ্র ছেলের আকুতি,আমারও মন চায় স্কুলে যেতে,গ্রামের আলপথে দূর-দূরান্তে ছুটে বেড়াতে,বন্ধুদের সাথে আনন্দ করতে খেলার মাঠে খেলতে, এই চিন্তা ভাবনা পৃথিবীর সকল শিশুদেরই থাকে কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস সে ইচ্ছে পূরণ হলো না।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের ধূলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহ-জাহান মুন্সির ছোট ছেলে মোঃ শাহ-জালাল(১২)জন্মের পর থেকে কানে একটি ছোট গোটার মতো ছিল বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটি আস্তে আস্তে বড় হয় কান সহ মাথার নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। তার বয়স যখন পাঁচ থেকে সাত বছর হয় হতদরিদ্র অসহায় পরিবার সবার কাছে হাত পেতে কিছু টাকা সংগ্রহ করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছিল তাদের সাথে চিকিৎসকের সাথে চুক্তি হয় ১১ হাজার টাকা কিন্তু চুক্তি হওয়ার পরে অপারেশন শুরু করেছিলেন কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে অপারেশন বন্ধ করে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় হতদরিদ্র পরিবারকে। কিন্তু টাকার অভাবে পরিবারটি উন্নত চিকিৎসার জন্য কোথাও যেতে পারেনি।
শাহজাহান মুন্সী ও তাঁর সহধর্মিনী জানায়,আমি একজন আমি সামান্য চায়ের দোকান দেই যা হয় তা দিয়ে কোনমতে দিন চলে, আমার তেমন কোনো উপার্জন নেই, অর্থ নেই চার ছেলে মেয়ের সংসার আমার, শাহজালাল আমার ছোট ছেলে আমি চাই আমার ছেলেকে বাঁচাতে নতুন জীবন দিতে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ছিলাম চিকিৎসকরা বলছে আমার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা ও অপারেশন করতে তাহলে আমার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে কিন্তু প্রয়োজন অনেক অর্থের আমি কোথায় পাবো এই অর্থ।শাহজালালের মা বলেন,
শাহ’জালাল স্কুলে যেতে চায় না। স্কুলে গেলে অন্য শিশুরা ভয় পায়। আবার কেউ কেউ খারাপ মন্তব্য করে। স্কুলে দিয়ে আসলে কতক্ষণ পরে চলে আসে। অন্যান্য শিশুদের চিন্তা করে শিক্ষকরাও আগ্রহ দেখায় না।তিনি আরও বলেন, যখন কানের ভেতরে চুলকায় তখন অস্বভাবিক আচরণ করে। আমার ছেলের চিকিৎসায় জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হবে । আমাদের পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব নয় তাই ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আপনারা এই শিশুটির নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে পারেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে। যোগাযোগ করতে পারেন শাহজালালের পিতার সাথে এই নাম্বারে-০১৭৪৬-৬৬৮১১৭
Comments (0)
Facebook Comments (0)